প্রযুক্তি বিশ্বের সবচেয়ে ইনোভেটিভ কোম্পানিগুলোর মধ্যে একটি সার্চ ইঞ্জিন লিডার গুগল।গুগলের ইনোভেশন প্রক্রিয়া নিয়ে তাই ব্যাপক আগ্রহ রয়েছে প্রযুক্তি বাজারের সাথে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন গোষ্ঠির এবং নবীন উদ্যোক্তাদের।তাই চলুন জেনে আসি গুগলের এই ইনোভেশন প্রক্রিয়াটি সম্পর্কে।
চিন্তা করার মতো কিছু অবসর
গুগল তার সব ইঞ্জিনিয়ারকে সপ্তাহের একটা দিন শুধু নিজের মতো করে চিন্তা করার জন্য দিয়ে দেয়। নিজের মতো করে প্রজেক্ট ডেভেলপ করার সুযোগ দেয়। সেই আইডিয়া বা প্রজেক্ট গুগলের মিশনের সাথে যেতেই হবে এমন কোনো কথা নেই।এভাবে কয়েক সপ্তাহের ছুটিতে থাকা দিনগুলোতে যত আইডিয়া বের করেছে ইঞ্জিনিয়াররা,গুগল সবগুলো একত্রিত করে। গুগল নিউজের ধারণাটা এই প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েই এসেছে।
আইডিয়া লিস্ট তৈরি
গুগলের একটা আইডিয়া মেইলিং লিস্ট আছে।সেখানে কোম্পানির যে কেউ তাদের নতুন প্রযুক্তি সম্পর্কে তাদের নতুন আইডিয়া বা মতামত প্রকাশ করতে পারে।এখানে এই আইডিয়াগুলোর মডারেট করার ব্যবস্থা থাকে।তবে মজার বিষয় হলো-যদি কেউ অল্প চিন্তা করেই খুব পরিচিত কোনো আইডিয়া দেয় তাকে নিয়ে তার কলিগরা বিভিন্নভাবে হাসিঠাট্টা করে।
অফিসের সময়েও আইডিয়া-আড্ডা
গুগলের বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের ম্যানেজাররা সপ্তাহের দু-একদিন একসাথে বসে নতুন নতুন আইডিয়া নিয়ে কথা বলে।এই প্রক্রিয়ার একটা সফল উদাহরণ হলো গুগলের পারাসোনালাইজড হোমপেজ।
বড় ধরনের ব্রেইনস্টোর্মিং সেশন
প্রথমদিকে গুগল অনেক ব্রেইনস্টোর্মিং সেশন করত।গুগল অনেক বড় হয়ে যাওয়াতে এই ধরনের ব্রেইনস্টোর্মিং সেশন বছরে ৮ বারে কমিয়ে এনেছে।এই সেশনগুলোতে গুগলের ১০০ জন ইঞ্জিনিয়ার অংশগ্রহণ করে।এই সেশনের নিয়ম হলো ৬ টা কনসেপ্ট নির্বাচন করা হয় এবং প্রতিটি কনসেপ্ট নিয়ে দশ মিনিটের মতো আলোচনা করা হয়।এই সেশনের লক্ষ হলো-নতুন আইডিয়ার উপর ভিত্তি করে প্রতি মিনিটে কমপক্ষে একটি কম্পিলিমেন্টারি আইডিয়া তৈরি করা।
ভালো আইডিয়া কেনা
গুগল সাধারণত নিজেরাই নতুন আইডিয়া বের করে।তারপরও ছোট ছোট কোম্পানিগুলো যদি কোনো কুল আইডিয়া বাজারে নিয়ে আসে গুগল তা কিনে নিতে দেরি করে না। ২০০৪ সালে গুগল কীহোল কিনে নেয় যার প্রযুক্তি ব্যবহার করে গুগল স্যাটেলাইট ছবি সহ আরো সফিস্টিকেটেড ম্যাপ বাজারে নিয়ে আসে।
তবে শেষ কথা হলো গুগলের মতো করেই নতুন আইডিয়া ডেভেলপ করতে হবে এমন কোনো কথা নেই।নিজের প্রতিষ্ঠানের প্রকৃতি অনুযায়ী,সামর্থ্য অনুযায়ী এই ইনোভেশন প্রক্রিয়া ডিজাইন করতে হবে। একটা বিষয় মনে রাখা দরকার স্বল্প পরিসরে হলেও ইনোভেশন প্রক্রিয়াটি যেন কখনো থেমে না যায়।
অনেক বেশি ইংরেজি শব্দমালা… আমরা কমপক্ষে ‘ইনোভেশন’ কে সৃজনশীলতা দিয়ে বদলে দিতে পারি 🙂
ভাই,ইনোভেশন আর সৃজনশীলতা তো এক বিষয় না। ইনোভেশন কে বড়জোর উদ্ভাবন বলা যায়।কিন্তু আপনি তো জানেন করপোরট পরিবেশে ইনোভেশনই(অন্যান্য বিজনেস টার্মের মতো) বেশি ব্যবহার করা হয়।উদ্ভাবন বা সৃজনশীল এই কথাগুলো কর্পোরেটদের কাছ থেকে খুব কম শোনা যায়। আর অনেকদিন ইনোভেশন নিয়ে অনেক কথা,অনেক চর্চা হওয়ায় ইনোভেশন আর উদ্ভাবন এই দুইটাও আর এক জায়গায় নাই।আমার মনে হয় যারা রিডার তাদের সুবিধার জন্য প্রথমদিকে অনেক শব্দ আমাদেরকে ইংরেজিতেই লিখতে হবে। কারণ আমাদের ব্যবসায়িক জ্ঞানের যে লিটারেচার সেটা ইংরেজিতেই গড়ে ঊঠছে।সেইটার সাথে আমাদের লেখাটা যাতে সহজেই সম্পর্কিত করা যায় সেই জন্য আমি এইভাবে লিখছি।তবে ধীরে ধীরে এখানে ইংরেজি শব্দ কমে আসবে। ধন্যবাদ।এর পরে লেখার সময় আপনার কথা মাথায় রাখব।
ওকে, মেনে নিলাম। তুমি gravatar.com এ গিয়ে তোমার একটা ছবি আপলোড করো, তাহলে কমেন্টের ঘরে তোমার ছবি দেখা যাবে।